আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির জন্য ২৬শে মার্চ একটি বিশেষ দিন । ১৯৭১ সালে এ গৌরবময় ইতিহাস রচিত হয়েছিল। এটি আমাদের ঐক্য ও সংহতির ইতিহাস। এটি আমাদের দুর্বার ও চেতনার ইতিহাস। প্রায় দুই যুগের পাকিস্তানি শোষণের শৃংখল থেকে বাঙালি জাতি ছুড়েফেলেছিল ১৯৭১ সালের এই দিনে, স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে নিজেদের ঘোষণা করেছিল। দেশের আয়তনের বিচারে আমরা ছোট হতে পারি, কিন্তু আমরা জাতি হিসেবে মোটেও ছোট নই সেদিন এটাই প্রমাণিত হয়েছিল।
৯৭১ এর ২৬ মার্চ তারিখ থেকে পাকিস্তানি শাসকচক্রের অব্যাহত অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়। এটি ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এ লড়াইয়ে বাঙালির মন্ত্র ছিল তাদের চেতনা এবং দৃঢ় সংহতি |
তোমাকে পাবার জন্য হে স্বাধীনতা” দিয়েছি কত প্রাণ। তোমায় পেয়ে ধন্য স্মৃতিটুকু হবে নাকো স্নান তোমাকে পেয়ে আত্মহারা হলো বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন মোদের অন্ধকারের বাতি। তোমায় পেয়ে হয়েছি আমরা গর্বিত দিলাম কথা আর কভু হবো নাকো ভিত।………স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন, বাঙালি জাতির ক্ষেত্রে মনে হয় প্রবাদটি অনেকাংশে সত্য। পত্রিকার পাতায় প্রতিদিন এর প্রমাণ পাওয়া যায়। রাজনৈতিক অনৈক্য, সন্ত্রাস কালো টাকার সহিংসতা এবং সর্বব্যাপী দুর্নীতি রয়েছে আমাদের জীবনে। বাঙালিকে কেউ ধরে রাখতে পারেনি। এ জাতি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই। সকল প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাঙালি জাতি বদ্ধপরিকর। সেই সাথে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বীর শহীদদের, যাদের রক্তে সৃষ্টি হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ তায়কোয়ানদো ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা এবং প্রার্থনা রইলো।